রবিবার ১২ মে ২০২৪
Online Edition

ফরহাদ মজহার নিখোঁজ রহস্যের প্রতিবেদন পিছিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর

 

 

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার : অধিকার কর্মী ফরহাদ মজহারকে অপহরণের অভিযোগ এনে তার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছে আদালত। প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন গতকাল বুধবার প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) এ সময় দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন এতথ্য জানিয়েছেন।

 

গত ৩ জুলাই সকালে নিখোঁজ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর নাটকীয়ভাবে যশোরে বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে র‌্যাব-পুলিশ। এর মধ্যে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান কবি ও প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত ডানপস্থী এই অধিকার কর্মী। তাকে মেরে ফেলা হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার ফোন করে স্ত্রীকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবির কথাও জানিয়েছিলে ফরহাদ মজহার। এ ঘটনায় রাজধানীর আদাবর থানায় মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তারের করা একটি সাধারণ ডায়েরি-জিডিকে ওইদিন রাতেই মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়।

 

উদ্ধারের পরদিন ৪ জুলাই সকালে ডিবি কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঢাকার আদালতে নেওয়া হয় ফরহাদ মজহারকে। সেখানে জবানবন্দীতে তিনি দাবি করেন, তাকে অপহরণ করে খুলনায় নেওয়া হয়েছিল। অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।

 

তবে ঘটনার তদন্তে নেমে অপহৃত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফরহাদ মজহার স্বেচ্ছায় খুলনা গিয়েছিলেন বলে তাদের মনে হচ্ছে। তার সাময়িক অন্তর্ধান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সব মহলে আলোচনার মধ্যে ‘তদন্তের সূত্র ধরে’ গত ১০ জুলাই ঢাকার আদালতে অর্চনা রানি নামে এক নারীকে নিয়ে আসে পুলিশ।

 

নিজেকে ফরহাদ মজহারের শিষ্য দাবি করে এই নারী জবানবন্দীতে বলেন, সেদিন ফরহাদ মজহার তার জন্য অর্থ জোগাড় করতেই বেরিয়েছিলেন এবং ১৫ হাজার টাকাও পাঠিয়েছিলেন।

 

ফরহাদ মজহার অপহরণের বিষয়ে মিথ্যা বলে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ